নেত্রকোণা প্রতিনিধি : থানায় জিডি করার ৫ ঘণ্টার মধ্যে আনুমানিক ১২ লাখ টাকা মূল্য মানের ৬ ভরি ১৩ আনা’র বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালংকারসহ হারানো ব্যাগ উদ্ধার করেছে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নেত্রকোণা মডেল ওসি কাজী শাহনেওয়াজ জানান, নেত্রকোণা পৌরসভার কাটলী এলাকার মোঃ মঞ্জুরুল হকের মেয়ে মুমতাহীনাহ মীম ৩১ আগষ্ট সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে মঈনপুরস্থ শ্বশুরের বাসা থেকে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে কাটলী বাবার বাসায় যায়। অটোরিকশা থেকে নামার সময় মনের ভূলে সাথে থাকা কাপড়ের ব্যাগ ফেলে রেখে যায়।
বাসায় গিয়ে কাপড়ের ব্যাগের কথা মনে হলে গৃহিণী ও তার পরিবারের লোকজন অনেক খুঁজাখুঁজি করেও কোথাও অটোরিকশা ও তার চালককে না পেয়ে রাত ১০টার দিকে নেত্রকোণা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির পর পরই পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে অটোরিকশাটি শনাক্ত করে রঙ্গের বাজারের আনোয়ারের রিকশা গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা চালকের নাম সংগ্রহ করে রাত ৩টার দিকে পুকুরিয়া এলাকার ডেন্ডু মিয়ার ছেলে মোঃ দুখু মিয়ার কাছ থেকে কাপড়ের ব্যাগটি উদ্ধার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চালক দুখু মিয়া জানান, তিনি যখন ব্যাগটি তার রিকশায় দেখতে পায় তখন অটোরিকশা চার্জ প্রায় শেষ হওয়ার পথে।
তিনি তার রিকশাটি গ্যারেজে চার্জে রেখে কাপড়ের ব্যাগটি না খুলেই সযত্নে ঘরে রেখে দেন এবং পরদিন মালিককে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে দেয়ার কথা পরিবারের লোকজনকে জানান। ওসি আরো জানান, হারানো কাপড়ের ব্যাগের ভেতর ২ ভরি ৮ আনা ওজনের ২ টি স্বর্ণের হার, ১ ভরি ২ আনা ওজনের ২ জোড়া কানের ঝুমকা, ১ ভরি ওজনের ১ জোড়া হাতের বালা, ১ ভরি ৮ আনা ওজনের ৪টি স্বর্ণের চেইন, ৫ আনা ওজনের ১ জোড়া কানের দুল, ৬ আনা ওজনের ২টি স্বর্ণের আংটি ছিল।
যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১২ লাখ টাকা। হারানো ব্যাগ ও তার ভেতরে রাখা স্বর্ণালংকার উদ্ধারের পর মডেল থানায় ওসি কাজী শাহনেওয়াজ ১লা সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে স্বর্ণালংকারের মালিক গৃহিণী মুমতাহীনাহ মীমকে তার ব্যাগ ও স্বর্ণালংকার বুঝিয়ে দেন। গৃহিণী তার সমুদয় স্বর্ণালংকার ফিরে পাওয়ায় পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
আয়শা/০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /দুপুর ১২:৪০