অভিষেকেই সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ প্রোটিয়া বোলারের বিরুদ্ধে
A S
/ ১৬
ভিউ
হালনাগাদ:
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫
শেয়ার করুন
স্পোর্টস ডেস্ক : অভিষেক ম্যাচে ৩১ বছর বয়সী সুব্রায়েন দশ ওভারে ৪৬ রান খরচায় ওপেনার ট্রাভিস হেডকে আউট করেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৮ রানে জিতে ১-০ তে এগিয়ে যায়। এর ২ মাস আগে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল।
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ ওঠায় এই অফস্পিনারকে ১৪ দিনের মধ্যে আইসিসি অনুমোদিত টেস্টিং ল্যাবে স্বাধীনভাবে তার অ্যাকশনের পরীক্ষা করাতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা আশা করছে যে তিনি ব্রিসবেনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারে পরীক্ষা দিতে পারবেন, যেখানে এর আগে এ বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথিউ কুনেমনকে পরীক্ষা করা হয়েছিল।
নিয়ম অনুযায়ী, বোলাররা বল করার সময় সর্বোচ্চ ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কনুই ভাঁজ করতে পারেন এবং পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত তিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ শুকরি কনরাড বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জানিয়েছেন, পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সুব্রায়েনকে আর খেলানো হবে না।
কনরাড বলেন, সে খেলতে পারবে। পরীক্ষার আগ পর্যন্ত খেলা অনুমোদিত। কিন্তু আমরা মনে করেছি অযথা বাড়তি আলোচনায় না গিয়ে তাকে জনসমক্ষে থেকে সরিয়ে নেওয়াই ভালো, যাতে সে পরীক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে পারে। প্রক্রিয়াটি হলো যত দ্রুত সম্ভব তাকে পরীক্ষা করানো এবং আমরা ব্রিসবেনে করার চেষ্টা করছি। সেটা সবার জন্যই সুবিধাজনক। আমরা ব্রিসবেন হয়ে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছি, তাই আশা করছি খুব শিগগিরই হয়ে যাবে।’
সুব্রায়েনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে এই এবারই প্রথম প্রশ্ন ওথেনি, ২০১২ সালেও দুটি আলাদা পরীক্ষা তার অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হলে সে বছরের ডিসেম্বরে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) তাকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় পাঠায়। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সংশোধন ও পুনঃপরীক্ষার পর তাকে আবার বোলিং করার অনুমতি দেওয়া হয়।
পরে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ফের অভিযোগ ওঠে এবং ২০১৫ সালের নভেম্বরে এক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এরপর তার অ্যাকশন পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার সব ডেলিভারিই ১৫ ডিগ্রির সীমা অতিক্রম করেছে, ফলে তাকে বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পুনঃপরীক্ষায় তিনি ব্যর্থ হন, তবে অবশেষে ২০১৬ সালের মার্চে সিএসএ হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে তার অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হলে তিনি আবার বোলিংয়ে ফেরেন।
কনরাড আরও বলেন, ‘সে এর আগেও এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে। এটা কখনোই সহজ নয়। অভিষেক পেতে তার অনেক সময় লেগেছে, আর আমরা সবাই তাকে সমর্থন দিচ্ছি। আগামী সপ্তাহ অনেক কিছু স্পষ্ট করে দেবে, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’ তিনি যোগ করেন, ‘আইসিসি ১২টি বল চিহ্নিত করেছে যেগুলো আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষায় তাকে সেই ১২টি বল পুনরায় করতে হবে। আমরা আমাদের বোলিং কোচ পিয়েত বোথাকে তার সঙ্গে পাঠাচ্ছি, যাতে সে সমর্থন পায় এবং আমরা এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার অস্ট্রেলিয়া সফরের শেষ দুটি ওয়ানডে যথাক্রমে ২২ ও ২৪ আগস্ট ম্যাকায়ে অনুষ্ঠিত হবে।