স্পোর্টস ডেস্ক : আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও মাঝে খেই হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান যোগ করার পর ৬৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যুবা টাইগাররা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সেই চাপ সামাল দেন কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন। কালামের ৬৫ ও রিজানের ৯৫ রানের ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত ২৬৯ রান করে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও দারুণ নৈপূণ্য দেখিয়েছেন রিজান হোসেন। ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা এই ক্রিকেটার এ দিন বল হাতে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং অর্ডার। ৩৪ রান খরচায় এ দিন ৫ উইকেট শিকার করেছেন ডানহাতি এই পেসার।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটাও হয় দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান যোগ করেন দুই ওপেনার জোরিখ ভ্যান শালভিক ও আদনান লাগদিন। আদনানকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন আল ফাহাদ। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ১৯ রান।
আদনান আউট হন ৩১ বরে ৪০ রান করে। আল ফাহাদের বলে আজিজুল হাকিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। ৬৬ রানে ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন মুহাম্মদ বুলবুইলা ও জ্যাসন রোলেস। দলীয় ১১১ রানে অধিনায়ক বুলবুইলাকে সাজঘরে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিজান হোসেন।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন আরমান মানাক। ২৫ বল খেলে ৮ রান করে রিজানের বলে ফাহাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। জ্যাসন রোলেস ফেরেন ৫৩ বলে ৩৫ রান করে। এমবাথার ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ বলে ২৯ রান। এনতানদোর আউট হন ৩২ বলে ৩৪ রান করে। শেষ ওভারে বায়ান্দা মাজোলাকে বোল্ড আউট করলে ২৩৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা। বাংলাদেশের হয়ে রিজান হোসেন নিয়েছেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া আল ফাহাদ ও স্বাধীন ইসলাম নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান তুলে। কিন্তু রান অর্ধশতক পূর্ণ হওয়ার আগেই ফিরে যান দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। আবরার ২১ ও রিফাত করেন ১৬ রান। ওয়ান ডাউনে নামা আজিজুল হক তামিম মোটেই ইম্প্যাক্ট রাখতে পারেননি, ব্যান্ডাইল মাবাথার শিকার হওয়া এ ব্যাটার ২৮ বলে করেন মাত্র ৭ রান।
কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন এরপর চাপ তো সামাল দেনই, গড়েন বড়সড় জুটিও। ১১৭ রানের জুটির পর কালাম সাজঘরে ফেরেন। তার ৭৫ বলের ইনিংসে আছে ৬টি চারের মার। রিজান এরপর জুটি বাধেন মো. আবদুল্লাহর সঙ্গে। নিজে হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু ৯৫ রানে আউট হয়ে সেঞ্চুরি মিস করেন। ৯৬ বলে ১০টি চার হাঁকান তিনি।
আবদুল্লাহ ও সামিউন দারুণ দুটি ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। ২৮ বলে প্রথমজন ৩৮ ও ৮ বলে সামিউন ১৩ রান করেন। বায়ান্দা মাজোলা নেন এক উইকেট।
আয়শা/১১ আগস্ট ২০২৫/রাত ১২:৩০