বিনোদন ডেস্ক : ফয়সাল খানের প্রথম সিনেমা ততটা সাড়া ফেলতে পারেনি। এরপর খুব একটা কাজ করেননি তিনি। সম্প্রতি এক ভয়ংকর অভিযোগ করেন তার ভাই আমিরের বিরুদ্ধে।
এক সাক্ষাৎকারে ফয়সাল বলেন, ‘ওরা আমাকে আমিরের বাড়িতে এক বছর আটকে রেখেছিল এবং জোর করে ওষুধ দিত। তারা বলত আমার নাকি সিজোফ্রেনিয়া হয়েছে এবং আমি সমাজের জন্য বিপজ্জনক। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল যেখানে আমাকে বোঝানো হচ্ছিল যে আমি প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছি। আমি শুধু ভাবতাম কীভাবে এই চক্র থেকে বের হবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ফাঁদে পড়েছিলাম কারণ আমার পুরো পরিবার আমার বিরুদ্ধে ছিল। তারা বিশ্বাস করত আমি মানসিকভাবে অসুস্থ, যার কারণ আমি আজও জানি না। তাই আমি তাদের থেকে দূরে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিই। ওরা আমাকে আটকে রেখেছিল এবং জোর করে ওষুধ খাওয়াত।’
ফয়সাল আরও জানান, ‘সেই সময় আমি শুধু নিজের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম। আমি নিজেকে বারবার জিজ্ঞাসা করতাম, আমি কীভাবে সামনে এগিয়ে যাব? কীভাবে বাঁচব? আমাকে কে কাজ দেবে? এই ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সাধারণ মানুষেরই কাজ পাওয়া কঠিন, সেখানে আমার মতো অবস্থায় থাকা একজনের জন্য তো আরও কঠিন। ওই ওষুধগুলো খেয়ে আমার ওজন বেড়ে গিয়েছিল, আমি ১০৩ কেজি হয়ে গিয়েছিলাম, কারণ সেগুলো অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর ছিল।’
ফয়সালের দাবি, ‘আমি শুধু প্রার্থনা করতাম। মাঝে মাঝে ভাবতাম হয়তো আমার বাবা আমাকে সাহায্য করবেন। সেই সময় তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন এবং পরিবারের থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু আমি তার কাছে পৌঁছতে পারিনি, আমার কাছে তার নম্বরও ছিল না। সবাই ভাবছিল আমার কী হয়েছে। সত্যিটা হলো, আমাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। আমির আমাকে এক বছরের জন্য বাড়িতে আটকে রেখেছিল।
ওরা আমার ফোন এবং সবকিছু নিয়ে নিয়েছিল। আমাকে বাইরে যেতে দেয়া হতো না। আমার ঘরের বাইরে একজন দেহরক্ষী রাখা হয়েছিল। আমার সমস্ত আর্থিক ও আইনি সিদ্ধান্ত আমির নিত। আমার মা এবং বোন আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল, বলেছিল যে আমি সমাজের জন্য বিপদজনক এবং প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছি। তখনই পুলিশ এই বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে।’
আয়শা/৯ আগস্ট ২০২৫/সন্ধ্যা ৭:৩৩