লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে ডিম খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় ডিমকে। নানা ধরনের স্বাদ ও স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য বেশ প্রশংসিতও এটি। তরকারি হিসেবে খাওয়ার জন্য রান্না করা, ভাজি করে, পোচ করে কিংবা সেদ্ধ করেও খেয়ে থাকেন কেউ কেউ। ডিম উপকারী হলেও এর পুষ্টিগুণ নির্ভর করে খাওয়ার ধরনের ওপর।
দ্ধ ও ভাজা ডিমের পার্থক্য:
ডিম ভাজতে গেলে এতে তেল, মাখন বা চর্বির প্রয়োজন হয়। এতে অতিরিক্ত ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যোগ হয়। বিপরীতে ডিম সেদ্ধ করতে এসবের কিছুই প্রয়োজন হয় না। ফলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। সেদ্ধ ডিম হচ্ছে প্রোটিনের পরিষ্কার উৎস, যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং শরীরও ঠিক রাখে বলে জানিয়েছেন আকাশ হেলথকেয়ারের প্রধান পুষ্টিবিদ গিন্নি কালরা।
সেদ্ধ ডিম:
ভাজা ডিম:
ভাজা ডিম:
সেদ্ধ ডিম:
হৃদরোগের ঝুঁকি:
হৃদরোগের ক্ষেত্রে সেদ্ধ ডিম উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কোন ধরনের চর্বি গ্রহণ করা হয়, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। অস্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড বা ট্রান্স ফ্যাট এড়াতে অতিরিক্ত চর্বি এড়িয়ে চলতে হবে। ক্ষতিকারক চর্বির সামগ্রিক ব্যবহার কমিয়ে সেদ্ধ ডিম হৃদরোগের জন্য উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণ:
ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে চাইলে সেদ্ধ ডিম খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন। এর উচ্চ প্রোটিন উপাদান আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে। এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকবে না। বিপরীতে ভাজা ডিমে থাকা ফ্যাট একই ধরনের স্বাদ দেবে না এবং তা অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হজম উপযোগী:
সেদ্ধ ডিম পেটের জন্য সহায়ক ও আদর্শ। এতে থাকা প্রোটিন সহজে হজমযোগ্য, যা পেশীর জন্য সহায়ক ও হজমের স্বাস্থ্যে অবদান রাখে।
কিউটিভি/আয়শা/২৫ জুলাই ২০২৫,/বিকাল ৩:১৪