আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্য গোয়াংজু জিওনাম মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক বুধবার (২৩ জুলাই) ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ করে। ভিডিওতে দেখা যায়, ৩০ বছর বয়সি শ্রীলঙ্কান এক অভিবাসী শ্রমিককে ফর্কলিফটের সামনে প্লাস্টিকের মোড়কে ইটের সাথে বেঁধে তুলে নিয়ে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
ভিডিওটি দক্ষিণ কোরিয়ার জিওল্লানাম-দো প্রদেশের নাজু শহরে একটি ইট তৈরির কারখানার। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও। নতুন করে শ্রমিক নির্যাতনের বিষয়টি নানা সমালোচনার মুখে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়া।
অভিবাসী শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং। বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে ঘটনাটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা অবিশ্বাস্য যে, বিশ্বমানের শক্তি একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা ঘটেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যেমে ঘটনার তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনারও নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং।
এছাড়াও, ঘটনাটি নিয়ে বৃহস্পতিবার সিউলের ইয়ংসান জেলায় প্রেসিডেন্টর কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারীদের সাথে এক বৈঠকে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং। প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং বলেন, ‘যেমন কোরিয়ান শ্রমিকদের মর্যাদা আমাদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি অভিবাসী শ্রমিকদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা করাও আমাদের কর্তব্য।’
অভিবাসীদের অধিকার এবং তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে নানা সময় কথা বলে আসছেন অভিবাসী মানবাধিকার যৌথ সংগঠন ও প্রবাসী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে ঘটনাটি প্রেসিডেন্টর নজরে আসে বলে জানান প্রবাসী শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আল মামুন।
ইপিএস-এর আওতায় ১৬টি দেশ থেকে ভাষা পারদর্শী এবং স্কিল টেস্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। এশিয়ার উন্নত দেশটি এখন অনেকটাই শ্রমিক নির্ভরশীল দেশ
কিউটিভি/আয়শা/২৪ জুলাই ২০২৫,/রাত ১১:৫০