স্পোর্টস ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতা এতদিন মূলত জাতীয় দলের খেলার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল। শত বৈরিতার পরও দুই দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে এতকাল হৃদ্যতা দেখা গেছে। তবে এবার সাবেকরাও ‘রাজনৈতিক স্রোতে’ গা ভাসিয়েছেন।
রোববার বার্মিংহ্যামে ভারত ও পাকিস্তানের সাবেকদের মধ্যকার ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ম্যাচটি খেলতে অস্বীকৃতি জানান পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, ইরফান এবং ইউসুফ পাঠান। ধাওয়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও না খেলার ঘোষণা দেন। চিঠিও লেখেন কর্তৃপক্ষকে।
ভারতীয় দলটি এই আসরে খেলছিল যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বে। পাকিস্তান খেলছেন মোহাম্মদ হাফিজের নেতৃত্বে। দুই দলেই সাবেক বেশ কয়েকজন তারকা ছিলেন। তাদের মুন্সিয়ানা দেখতে উৎসাহী ছিলেন সমর্থকরা।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালেন সালমান ও আফ্রিদি। আফ্রিদির মতে একজন ছাড়া অন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের সমস্যা ছিল না। এই একজনই ঝামেলা পাকান, ‘আমরা এখানে (ইংল্যান্ডে) খেলতে এসেছি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলতে, বন্ধুত্ব, আড্ডা দিতে এসেছি। একটা বাজে লোক সব নষ্ট করে দিয়েছে।’
তার প্রশ্ন ভারত খেলতে না চাইলে কেন আগেই তা জানালো না, ‘ওরা যদি খেলতেই না চায় আসার আগেই তো জানানো উচিত ছিল। এখানে এলো, অনুশীলন করে হুট করে বলল খেলবে না।’
পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক সালমান ভারতকে আহবান করেছেন তারা পারলে বিশ্বকাপেও এভাবে বর্জন করে দেখাতে পারে, ‘পুরো বিশ্ব তাদের নিয়ে কথা বলছে – তারা ক্রিকেট এবং ভক্তদের কাছে কী বার্তা পাঠিয়েছে? আপনারা কী দেখাতে চাইছেন? কী প্রমাণ করতে চাইছেন? এবার বিশ্বকাপে খেলবেন না… কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে আমাদের বিরুদ্ধে খেলবেন না। এই প্রতিশ্রুতি দিন।’
‘দেখুন, আমরা বুঝি যে সবকিছুর নিজস্ব স্থান আছে। কিন্তু এখন যেহেতু আপনারা সবকিছুকে এক সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন, তাই কোনো স্তরে বা টুর্নামেন্টে আমাদের বিরুদ্ধে খেলবেন না। এমনকি অলিম্পিকেও নয়। দয়া করে তাই করুন। আমি দেখতে চাইব। ঝুঁকি বেশি হবে, এবং আমি দেখব তারা সেই স্তরে কতটা জাতীয়তাবাদ দেখাতে পারে।’
কিউটিভি/আয়শা/২১ জুলাই ২০২৫,/রাত ৯:০০