ডেস্ক নিউজ : মাইলস্টোন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে শ্রেয়া ঘোষ (৯)। তার স্কুল ছুটির সময় ছিল বেলা সোয়া ১টার দিকে। মা পপি ঘোষ অপেক্ষায় ছিলেন স্কুল গেইটে। এমন সময় একটা প্রশিক্ষণ বিমান কলেজের দিকে উড়ে আসে। বিমানের পাইলট আগেই প্যারাসুটের সাহায্যে নেমে যান। তারপর বিমানটি উড়ে এসে পরে হায়দার আলী ভবনের ঠিক সামনে এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে ক্লাসরুমের দূরত্ব ৬০-৭০ ফুট। হায়দার আলী ভবনেই ক্লাস করছিল শ্রেয়া।
অগ্নিকাণ্ডে শ্রেয়ার শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার দুই হাত এবং মুখের ডান পাশ পুড়ে গেছে। সেই নারকীয় ঘটনার কথা মনে করে কাঁদছেন মা পপি ঘোষ। সন্তান ভর্তি রয়েছে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের ৫২০নং ওয়ার্ডে। পপি ঘোষ বলেন, আমার আজ যেতে মিনিট পাঁচেক দেরি হয়ে গেছিল, সবে স্কুলের গেট দিয়ে ঢুকছি, এমন সময় বিমান আছড়ে পড়ে। প্রচণ্ড ধোঁয়া। চারপাশে কিছু দেখা যায় না। অন্য অভিভাবকদের সঙ্গে আমিও হায়দার আলী ভবনের দিকে আগাই।
পপি বলতে থাকেন, মেয়েকে তখনো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমি তখন ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পায়ে পড়ি। তাদের বলি, যেমন করে পারেন, মেয়েকে খুঁজে দেন। তারা পরে স্কুল ভবনের দেয়াল ভেঙে মেয়েকে উদ্ধার করে। এ সময় অনেক ছেলে-মেয়ে গায়ে আগুন নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বের হয়ে আসছিলো। উত্তরার দিয়াবাড়ির বাসিন্দা পপি ঘোষ ও তার স্বামী সুকুমার ঘোষ পরে শ্রেয়াকে নিয়ে জাতীয় ইনস্টিটিউটে যান। রেড ক্রিসেন্ট পরিচালক ডা. শাহনাজ জাফর জানান, মাইলস্টোনের ঘটনায় সবমিলিয়ে ৪৬ জন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।
কিউটিভি/আয়শা/২১ জুলাই ২০২৫,/রাত ৮:০০