যে কারণে সুইসাইড নোট লিখে ‘আত্মহত্যা’ করলেন মডেল স্যান র্যাচেল
A S
/ ২
ভিউ
হালনাগাদ:
শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
শেয়ার করুন
বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৩ জুলাই ভোরে দক্ষিণ ভারতের পুদুচেরির নিজ বাসায় ঘুমের অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন স্যান র্যাচেল।
ফ্যাশন দুনিয়ায় স্যান র্যাচেল হিসেবে পরিচিতি পেলেও তার আসল নাম শঙ্কর প্রিয়া গান্ধী। ছোটবেলা থেকেই ফ্যাশন দুনিয়ার নামকরা মডেল হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তবে এ স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গায়ের রং।
গায়ের রং কালো হওয়ায় স্কুল জীবন থেকেই ‘বর্ণবৈষম্য’র শিকার হন। তবু দমে যাননি। সমস্যা পেরিয়ে শুধু ভারত নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম ছড়িয়েছিলেন মডেল হিসেবে।
নিজেকে প্রমাণ করতে একে একে জয় করেছেন ‘মিস ডার্ক কুইন তামিল নাড়ু’, ‘মিস পুদুচেরি’, ‘মিস আফ্রিকা গোল্ডেন’ মুকুট। ভারতের পাশাপাশি ফ্রান্স, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ফ্যাশন উৎসবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এ ‘ব্ল্যাক কুইন’ তারকা।
জানা যায়, গত দুই বছর ধরে আর্থিক সংকটে জীবন পার করছিলেন র্যাচেল। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাচ্ছিলেন না। এক পর্যায় নিজের সোনার গয়না বিক্রি করেন। কিন্তু তাতেও আর্থিক সংকটের সমাধান করতে পারেননি।
২০২৪ সালে ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার সত্যকে বিয়ে করেন মডেল স্যান র্যাচেল। ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালে দক্ষিণ ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার সত্যকে বিয়ে করে আরও আর্থিক সংকটে পড়েন তিনি। কারণ বিয়ের সময় সত্যের বন্ধুর থেকে বিশাল অংকের টাকা ধার নেন তিনি। সে টাকা বিয়েতে খরচ করেন। কাজ না পাওয়ায় ধার করা অর্থও পরিশোধ করতে পারছিলেন না র্যাচেল।
ধারের খবর স্বামী সত্যের কানে পৌঁছালে তা নিয়ে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। শেষমেষ বাবার কাছে সাহায্য চান ধার পরিশোধ করার। কিন্তু সংসারে আরও ভাই-বোন থাকায় সে সাহায্য করতে পারেননি র্যাচেলের বাবা। যে কারণে বিষণ্নতায় ভুগতে শুরু করেন এ মডেল।
দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা থেকে ১৩ জুলাইয়ের আগে চলতি বছরের ৫ জুনও বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন র্যাচেল। সেবার দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু এবার আর তাকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আগে র্যাচেল সুইসাইড নোটে বাবা, স্বামী ও শাশুড়ির প্রতি অভিযোগ আর অভিমানের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি তিনি।