সংবাদমাধ্যমটি নিজেরাই তদন্ত করে জানায়, দুর্ঘটনার ঠিক আগে ককপিটে পাইলটদের শেষ কথোপকথনে বিমানের ক্যাপ্টেন ইঞ্জিনে জ্বালানির প্রবাহ বন্ধ করেছিলেন বলে জানা গেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের পরই ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়ালকে জিজ্ঞেস করেন, কেন তিনি জ্বালানি কাট-অফ সুইচ বন্ধ করলেন। তখন কুন্ডার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেও ক্যাপ্টেন সুমিত শান্ত ছিলেন বলে দাবি সংবাদমাধ্যমটির।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল কি ইচ্ছাকৃতভাবে জ্বালানি সুইচ বন্ধ করেছিলেন? ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, তদন্তকারীরা এখনো নিশ্চিত নন এটি পাইলটের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত ছিল, নাকি দুর্ঘটনাবশত হয়েছে। ভারতের এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো-এ.আই.আই.বি’র প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটি আকাশে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি কন্ট্রোল সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। উড্ডয়ন থেকে বিধ্বস্ত হওয়া পর্যন্ত সময় ছিল মাত্র ৩২ সেকেন্ড।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান পাইলটস। সংগঠনটির সভাপতি বলেন, প্রমাণ ছাড়াই পাইলটদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলা এবং তাদের মনোবলে আঘাত করা একেবারেই অনুচিত।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে কোথাও বলা হয়নি পাইলটরা নিজেরা ফুয়েল সুইচ ঘুরিয়েছেন। বরং ককপিট ভয়েস রেকর্ডারেও সেটির কোনো প্রমাণ নেই বলে জানান তিনি।