খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : নিজের বসত ঘরে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে মনিমালা নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গত ১৪ জুলাই শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের পূর্ব সোনামুখী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মনিমালা ওই গ্রামের প্রবাসী শাহ আলম তালুকদারের স্ত্রী। প্রতিপক্ষের লোকজন বসত ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে মর্মে তিনি মামলা করেছেন। প্রতিপক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবী করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জমি ক্রয়কে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের আমির হোসেন তালুকদার ও মনিমালার মাধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দেওয়ানী আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মনিমালা আদালতের নির্দেশ, স্থানীয় শালিসী ও প্রতিপক্ষের বাঁধা উপেক্ষা করে বিরোধীয় জমি ভড়াট এবং বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে নির্মানাধীন ভবনের মাটির নিচের কাজ শেষ হয়ে যায়। কোন কিছুতেই মনিমালাকে থামাতে পারছে না বাদী পক্ষ। এক পর্যায়ে বাদী পক্ষ বাধ্য হয়ে গত ১৩ জুলাই দুপুরে নির্মাণাধীন ভবনের রড কেটে ফেলে বাদী আমির হোসেন তালুকদার। এই ঘটনার পরের দিন মনিমালার বসত ঘর আগুনে পুড়ে যায়। সেই থেকে মনিমালা দাবী করছেন দেওয়ানী মামলার বাদী পক্ষ তার বসত ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
দেওয়ানী মামলার বাদীর স্ত্রী লিজা বেগম, মেয়ে সুমা, সীমা ও পত্রবধু তানজিলা বেগম জানায়, মনিমালার সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বিরোধীয় জমিতে ভবন নির্মাণ করায় তারা বাঁধা দেয়। বিবাদী মনিমালা বাধা উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ায় তারা ভবনের রড কেটে দিয়েছি। তারা কেউ ঘরে আগুন দেইনি। তাদের ফাঁসানের জন্য নিজের ঘরে আগুন দেয় মনিমালা। তারা মনিমালার ঘরে আগুন দেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেনা।
তার আরো জানায়, মনিমালার স্বামী ২২ বছর ধরে প্রবাসে থাকে। তার দুই ছেলেও ইতালী প্রবাসে। সে লিবিয়া দিয়ে লোকজন ইতালী পাঠায়। সমাজের খারাপ মানুষের সাথে মনিমালার যোগসূত্র ও অঢেল অবৈধ টাকা রয়েছে। সেই টাকার জোরে মনিমালা তাদের হয়রানী করে আসছে। এই বিষয়ে মনিমালা জানায়, আমীর হোসেন তালুকদার তার স্ত্রী-সন্তান ও পুত্রপধুকে নিয়ে দিনের আলোতে তার ঘরে আগুন দিয়েছে। এই বিষয়ে তিনি আদালত ও থানায় মামলা করেছেন।
প্রতিবেশী আবু আলম তালুকদারের মেয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মানছুরা জানায়, মনিমালা ও মানছুরাদের ঘর একই সীমানায়। দুপুরে মানছুরা ও তার পরিবার ঘরে খাবার খাচ্ছিলেন। সেই সময় এক বিকট শব্দে তারা আতঙ্কিত হয়ে যায়। খাবার রেখে বের হয়ে দেখেন মনিমালার ঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনিমালার ঘরে কেউ ছিল না। তখন মানছুরা ও তার পরিবারের চিৎকারে লোকজন এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। তিনি কাউকে মনিমালার ঘরে আগুন দিতে দেখেনি।
কিউটিভি/আয়শা//১৭ জুলাই ২০২৫,/বিকাল ৫:২১