বিনোদন ডেস্ক : নেপাল থেকে ছবিটি ঢাকায় আমদানি করছে শো-মোশন লিমিটেড। অন্যদিকে এই সিনেমার বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাচ্ছে তানিম রহমান অংশু পরিচালিত ‘ন ডরাই’। শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামাল অভিনীত ছবিটি প্রযোজনা করেছিল স্টার সিনেপ্লেক্স।
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ন ডরাই’ ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ ৬টি বিভাগে পুরস্কার পায়। অন্যদিকে দীপেন্দ্র গাউছান পরিচালিত ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’ মুক্তির পর নেপালে বেশ আলোচিত এবং প্রশংসিত হয়েছে।
সাফটা চুক্তির মাধ্যমে নেপালে যাচ্ছে ‘ন ডরাই’ (বামে) আর বাংলাদেশে আসছে ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’ (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের সিনেমা ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’য় প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রিষ্টি শ্রেষ্ঠা ও নাজির হুসেন। ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের এ নেপালি ভাষার সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে লোকজ সংস্কৃতি ও ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রেমের গল্প নিয়ে।
ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে দুই চরিত্রকে ঘিরে। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের। এরপর এক ক্যাফেতে হয় প্রথম দেখা হয়। অনিচ্ছাকৃত ঘটনায় সেখান থেকে কফিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মেয়েকে অপহরণ করে ছেলেটি। সেখান থেকেই শুরু হয় অপহরণের ‘ভুল–বোঝাবুঝির’ যাত্রা।
মেয়েকে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে অপহরণ করে মধেশের সমতলভূমিতে নিয়ে যান ছেলেটি। মেয়েটি প্রথমে ভয় পেলেও ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব জন্ম নেয়। ছেলেটি তাকে নেপালের মধেশের সুন্দর জায়গাগুলো দেখান। মেয়েটি সেখানকার মানুষ আর সংস্কৃতি ভালোবাসতে শুরু করেন। ভিন্ন সম্প্রপ্রদায়ের হলেও দুজন ভালোবাসায় বন্ধনে আবদ্ধ হন। সিনেমাটিতে নেপালের তরাই অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা মধেশের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনধারা তুলে ধরা হয়েছে।