প্রশ্ন আসে, লিঁওর ইউরোপা লিগে কোয়ালিফাই করার সঙ্গে প্যালেসের খেলতে না পারার কী সম্পর্ক! সম্পর্ক একটা আছে। ইংল্যান্ডের ক্লাবটির মালিকানায় রয়েছেন মার্কিন ব্যবসায়ী জন টেক্সটর। লিঁওর বেশির ভাগ মালিকানাও তার নামে। উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, একই মালিকানার দুই ক্লাব একই মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। তাই প্যালেসের কপাল পুড়েছে।
আরও একটা প্রশ্ন উদিত হওয়া খুব স্বাভাবিক—প্যালেসই কেন বাদ গেল, লিঁও কেন নয়! এর ব্যাখ্যা হলো- ফরাসি ক্লাবটি গত মৌসুম শেষ করেছে ক্রিস্টাল প্যালেসের চেয়ে ভালো অবস্থানে থেকে। ১২ নম্বরে থাকা প্যালেসের পয়েন্ট ৫৩। বিবিসি জানিয়েছে, উয়েফা প্যালেসকে কনফারেন্স লিগে খেলার নির্দেশ দিয়েছে। ইউরোপা লিগে তাদের শূন্যস্থান পূরণ করা হতে পারে নটিংহ্যাম ফরেস্টকে দিয়ে। ফরেস্ট গত মৌসুমে পয়েন্ট টেবিলের ৭-এ থেকে মৌসুম শেষ করেছিল। এই সিদ্ধান্তে ক্রিস্টাল প্যালেস হতাশ, নিজেরা মাল্টি-ক্লাব অপারেশন্সে যুক্ত নয় বলেও দাবি। কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস বরাবর আপিল করার কথাও জানিয়েছে তারা।
ক্রিস্টাল প্যালেস চেয়ারম্যান স্টিভ প্যারিশ বলেছেন, ‘সবাই জানে আমরা কোনো মাল্টি-ক্লাব সেট-আপের অংশ নই, আমরা ভাগাভাগিতে নেই। আমি বুঝতে পারছি না প্যানেল (উয়েফা) কেন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এটি একটা হাস্যকর সিদ্ধান্ত। আমরা আপিল আদালতকে আমাদের যুক্তি শোনার জন্য বলব।’