ডেস্ক নিউজ : বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া একাধিক মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার ও সোমবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই মিছিলে হামলা চালিয়ে স্থানীয় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। এতে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঘটনার ১০ মাস পর ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু এ ঘটনায় শেরপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে পুলিশ গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্টতা পায় এবং রোববার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুর রহমান ওরফে শুভ, সহিদ শাজাহান ও মোজাহিদকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি ও এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রার্থী জিএম সিরাজের গাড়িবহরে বোমা বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনায় একটি পৃথক মামলা করা হয় ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর। এ মামলায় তদন্তের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেরপুরের ধুনট মোড়ে আন্দোলনকারী রিফাত সরকার হামলার শিকার হন।
এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২ নভেম্বর মামলা করা হলে তদন্তে অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে মৃদুলের নাম। তাকেও রোববার রাতে উলিপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শেরপুর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, একাধিক মামলার তদন্তে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
কিউটিভি/আয়শা/২৩ জুন ২০২৫, /রাত ১০:১২