ডেস্ক নিউজ : বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বেলা এগারোটার দিকে মাছগুলো পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন জেলে আবু সালেক (৪০)। এর আগে গতকাল রাতে কুয়াকাটার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় মাছগুলো ধরা পড়ে। সালেক চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ‘আল্লাহর দোয়া-৪’ নামের একটি ট্রলারে ১৭ জন জেলেকে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।
মাছগুলোর মোট ওজন প্রায় ৫ কেজি। এগুলো অবতরণ কেন্দ্রে আনার পরপরই উৎসুক জনতা ভিড় করেন সেগুলো এক নজর দেখতে। রঙিন শরীর আর টিয়া পাখির মতো মাথা হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে এ মাছ নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল দেখা দেয়। পরবর্তীতে মাছগুলো বড় পোয়া মাছের সঙ্গে নিলামে তোলা হয়। প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে ৪টি মাছ কিনে নেন এক পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এরকম মাছ সচরাচর দেখা যায় না। আমার ধারণা, শৌখিন খরিদদারদের কাছে ভালো দামে বিক্রি হবে।’
স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, স্কারাস জুফার সাধারণত ওমান উপকূলসহ দক্ষিণ আরব সাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। ১৯৯৫ সালে প্রজাতিটি বৈজ্ঞানিকভাবে শনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশে খুব কম সময়েই এ ধরনের মাছ ধরা ড়ে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন , ‘মাছগুলো বিরল প্রজাতির। সাধারণত রিফ বা প্রবালপ্রবণ এলাকায় এদের দেখা যায়। বঙ্গোপসাগরে এমন প্রজাতির দেখা মেলাটা আমাদের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে।’
মৎস্য বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সাগরের তলদেশে পরিবেশগত রদবদলের ফলে নতুন কিছু প্রজাতির আগমন ঘটছে, আবার কিছু পুরনো প্রজাতি হারিয়েও যাচ্ছে। সাগরের জীববৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণে এ ধরনের বিরল ধরনগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে বলে জানান তাঁরা।
কিউটিভি/আয়শা/১২ জুন ২০২৫, /বিকাল ৫:৫৮