হলুদের ব্যবহার শুষ্ক, সাধারণ, তৈলাক্ত ত্বকভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হলুদের সঙ্গে কাঁচা দুধ, বেসন/আটা/ময়দা, মধু, লেবু ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক শুষ্ক হলে অবশ্যই মধুর বদলে টক দই ব্যবহার করুন। ত্বক যে ধরনেরই হোক না কেন, হলুদ ব্যবহারের পরপরই রোদে বের না হওয়াই ভালো। এতে ত্বক জ্বলে যেতে পারে। তাই ত্বকে হলুদের ব্যবহারের জন্য রাতের সময়টিকেই বেছে নিন।
সৌন্দর্য চর্চায় হলুদের নানামুখী ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন-
১. যে কোনো ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করতে হলুদ ও ময়দা মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল কমিয়ে ত্বককে করে তুলবে বেশ সংবেদনশীল। উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক পেতে হলুদ ও ময়দার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
২. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হলুদের সঙ্গে গাজরের রস, বেসন, জলপাই তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে কিছু সময় পর ধুয়ে ফেলুন।
৩. লেবুর রসে আছে ব্লিচিং উপাদান এবং হলুদে আছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে হলুদের গুঁড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করুন।
৪. হলুদ ও মধুর মিশ্রণ ত্বকের ভেতরের আর্দ্রতা রক্ষা করে উজ্জ্বল ত্বক ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। মধুতে আছে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক আর্দ্র রাখার ক্ষমতা।
৫. হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে, যা ব্রণ দূর করতে ভালো কাজ করে। ত্বকের নির্জীবতা দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদের সঙ্গে চন্দন গুঁড়া, লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৬. হলুদ ও নারিকেল তেলে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তাছাড়া নারিকেলের তেল খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ত্বককে বেশ প্রাণবন্ত মনে হবে।
৭. ত্বকের পোড়া দাগ দূর করতে হলুদ বাটা, মুলতানি মাটি, শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগালে পোড়া দাগ হালকা হয়ে আসবে অনেকাংশে।
৮. চোখের নিচের কালো দাগ দূর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে হলুদ বেশ কাজ করে। হলুদে আছে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক তরুণ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেল ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা রক্ষা করে।