মশিউর রহমান, আশুলিয়া (ঢাৃকা) : শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় একটি বাসা বাড়িতে রান্না ঘরের গ্যাস সিলিণ্ডার লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে স্বামী-স্ত্রী দ্বগ্ধ হয়েছেন। দ্বগ্ধদের উদ্ধার করে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার রাত ৯ টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রণস্থল বটতলা এলাকার নজরুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
দ্বগ্ধরা হলেন, মিন্টু (৩৫) ও তার স্ত্রী ববিতা (৩০)। তারা আশুলিয়ার রণস্থল বটতলা এলাকার নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় অপারেটর পদে চাকুরী করতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে বলে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, মিন্টু ও ববিতা দুইজনে একই কারখানায় কাজ করে। মিন্টু সিগারেট খাওয়ার জন্য বারান্দার রান্না ঘরে যায়। আগুন জ্বালানোর সাথে সাথে তার শরীরে আগুন লাগে। ওই সময় ববিতাও কাছাকাছি ছিলো। তার শরীরেও আগুন লাগে। গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্না ঘরে জমা ছিলো। কোন বিস্ফোরণ হয়নি এবং রান্না ঘরের কোন ক্ষতিও হয়নি।
বাড়ির মালিক নজরুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রশিদ জানান, রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমা গ্যাসে আগুনে মিন্টু ও ববিতা দু’জনেই দ্বগ্ধ হন। এসময় আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়া যান। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।
ববিতার চাচাত ভাই শ্রী প্রেমানন্দ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ডাক্তার বলছে মিন্টুর অবস্থা ভালোনা। তবে ববিতার অবস্থা মিন্টুর চেয়ে একটু ভালো। তারা দুজনেই সাভারের গোহাইলবাড়ী রনস্থল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে গার্মেন্টে কাজ করতো। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, রোববার রাত ৯ টার দিকে দগ্ধ মিন্টু ও ববিতাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে মিন্টুর শরীরের শতকরা ৬০ ভাগ ও ববিতার ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে।
কিউটিভি/আয়শা/২৮ জুলাই ২০২৫,/রাত ১০:৩০