ডেস্ক নিউজ : মাওলানা শরিফ হাসান শাহীন
ما من يوم يصبح العباد فيه إلا ملكان ينزلان، فيقول أحدهما: اللهم أعط منفقاً خلفاً، ويقول الآخر: اللهم أعط ممسكاً تلفاً প্রত্যেক সকালে দুই ফেরেশতা অবতরণ করেন। একজন বলেন, হে আল্লাহ! যিনি দান করেন তাকে আপনি আরও দিন। অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! যে কৃপণতা করে, আপনি তার ধন-সম্পদ নষ্ট করে দিন। (সহিহ বুখারি:১৪৪২,সহিহ মুসলিম:১০১০)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, দিনের শুরুতেই দান বা সদকা করলে ফেরেশতা দোয়া করেন বরকতের জন্য। এটি শুধু অর্থনৈতিক দান নয়,কেউকে সাহায্য করা, খাদ্য দেওয়া, ভালো কথা বলা, এমনকি হাসিমুখে কারো সাথে দেখা করাও সদকা।
الصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الماءُ النَّارَ সদকা গুনাহকে নিভিয়ে দেয় যেমন পানি আগুন নিভিয়ে দেয়। (সুনানুত তিরমিজি:২৬১৬)
দিনের শেষে ইস্তিগফার, মাফ ও নিরাপত্তার চাবি
من قال حين يأوي إلى فراشه: أستغفر الله الذي لا إله إلا هو الحي القيوم وأتوب إليه، غفر الله له ذنوبه وإن كانت مثل زبد البحر যে ব্যক্তি তার শয্যায় যাওয়ার সময় বলে, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়াতুবু ইলাইহি, আল্লাহ তার সব গুনাহ মাফ করে দেন, যদি তা সাগরের ফেনার সমানও হয়। (সুনানুত তিরমিজি:৩৩৯৭)
আল্লাহ তাআলা বলেন, وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَ আর তারা শেষ রাতে ইস্তিগফার করত। (সুরা জারিয়াত:১৮) এই আয়াতে আসহার বলতে রাতের শেষ অংশকে বোঝানো হয়েছে, যা সাহরির সময়। এটা এমন সময়, যখন আল্লাহর দরবার রহমত ও মাগফিরাতে উন্মুক্ত থাকে। সাহাবায়ে কিরাম ও সালাফে সালেহিনরা এই সময়ে বিশেষভাবে ইস্তিগফার করতেন। এটি ছিল তাদের এক উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য। এ ইস্তিগফার সারাদিনের গাফিলতি, ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনার মোক্ষম সময়।
কিউটিভি/আয়শা/২৭ জুলাই ২০২৫,/রাত ৮:১৫