আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নির্ধারণ করেছে ইরান। বৃহস্পতিবার এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইরানের আইনি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার নিউইয়র্ক সফরের তিন দিনের বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ঘারিবাবাদি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় অংশগ্রহণের আগে ইরানের জন্য যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইরানের আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা; আলোচনাকে গোপন এজেন্ডা বা সামরিক হুমকির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার না করা; পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত চুক্তির (এনপিটি) অধীনে ইরানের অধিকার—বিশেষ করে ইরানের প্রয়োজন অনুযায়ী ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকারকে স্বীকার ও সম্মান জানানো; এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মোটেই আস্থা রাখে না এবং যেকোনো সামরিক হুমকির মুখে আত্মরক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকবে। এর আগে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচির নেতৃত্বে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পাঁচ দফা পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যা ওমানের মধ্যস্থতায় পরিচালিত হয়। আলোচনার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন। তবে ইসরাইল ইরানে ‘অযৌক্তিক আগ্রাসন’ শুরু করলে এই আলোচনা ব্যাহত হয়।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনাগুলোর ওপর টানা ১২ দিন ব্যাপী হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা—নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহানে সামরিক হামলা চালায়। এই আগ্রাসনের জবাবে ইরানি সামরিক বাহিনী তৎক্ষণাৎ পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ইউনিট ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’-এর আওতায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২২টি পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে অধিকৃত অঞ্চলের বহু শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানি বাহিনী কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদ এয়ার বেসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পরবর্তীতে ২৪ জুন একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যার মাধ্যমে সাময়িকভাবে সংঘাত বন্ধ হয়েছে।
সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি
কিউটিভি/আয়শা/২৪ জুলাই ২০২৫,/রাত ১১:৫০