জিঞ্জিরাম নদীর উপরে পাথরের চর ব্রিজ নির্মিত হওয়ার বেশিদিন হয়নি। এক সময় আমার কুড়িগ্রাম জেলার দুটি উপজেলা রৌমারী আর রাজিবপুর বাসীর সড়ক পথে জামালপুর, শেরপুর , ময়মনসিংহ ও ঢাকায় যোগাযোগের প্রধান অন্তরায় ছিল এই জিঞ্জিরাম নদী। প্রায় এক যুগ আগে জিঞ্জিরাম নদীর উপরে পাথরের চর ব্রিজটি নির্মিত হয়।
জিঞ্জিরাম নদীর জন্ম ভারতের মেঘালয় রাজ্যে। জিঞ্জিরাম নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এবং জামালপুর এবং ভারতের মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড় জেলা এবং দক্ষিণ পশ্চিম গারো পাহাড় জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১০৭ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। ভারত থেকে নেমে আসা এই নদীটি বাঘারচর-পাথরেরচর – সানন্দবাড়ী -মৌলভীর চর-লংকার চর হয়ে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাধীন বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন এর বাছেতপুর(পশ্চিম)এ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে প্রবেশ করেছে। অপরধারাটি বকশিগঞ্জ দশানী নদের সাথে মিলিত হয়।
এই জিঞ্জিরাম নদী পথে মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এ জেড ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়ার নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালিত হতো।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর রণাঙ্গন নিয়ে সম্প্রতি পড়াশোনা শুরু করেছি। প্রাক্টিক্যালি জায়গাগুলো ভিজিট করছি। অনেক মানুষের সাথে কথা বলছি। অবশ্য এই সকল মানুষ এখন বৃদ্ধ। ৫৪ বছর আগে পরিণত মানুষগুলো এখন বয়সের ভারে নুব্জ্য। এদের চাক্ষুষ কাহিনী তুলে আনার চেষ্টা করছি।
সম্প্রতি পাথরের চর সহ কয়েকটি স্থানে গিয়েছিলাম। মেঘালয়ের পাদদেশে নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের আঁধার এই সকল স্থানে লুকিয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা রহস্য।
লেখকঃ লুৎফর রহমান একজন রাজনীতিবিদ ও লেখক। তিনি নিয়মিত লেখালেখির পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক নিউজ মিডিয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লুৎফর রহমান ৮০ এর দশকের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরতে চারটি রাজনৈতিক উপন্যাস লিখেছেন, যা দেশ বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবনের খন্ডচিত্র এঁকে তিনি এখন ব্যাপক পরিচিত পাঠক মহলে। গঠনমূলক ও ইতিবাচক লেখনীতে তিনি এক নতুন মাত্রা সংযোজন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই লেখাটি লেখক লুৎফর রহমান এর অনুমতি স্বাপেক্ষে তাঁর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহিত।
QTV/RASHED/10.07.2025/12.15AM