ডেস্ক নিউজ : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর আগে সোমবার সংস্থাটির বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জুন মাসে দেশের রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এরপর ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়নে এবং ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ তা পৌঁছায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ওই বছরের অক্টোবরে তা প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করে। এমনকি কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছয়।
তবে ২০২২ সালের পর থেকে ডলার সংকট, আমদানি ব্যয় ও অর্থনৈতিক চাপে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ বর্তমানে সেই সীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির জন্য সতর্ক সংকেত হলেও সাম্প্রতিক উত্থান স্বস্তিদায়ক।
কিউটিভি/আয়শা/২৪ জুন ২০২৫, /রাত ১১:০৫