ইরানে ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর যেসব দেশ যুদ্ধবিরতি ও পরমাণু আলোচনা শুরু করতে ওয়াশিংটনের কাছে আবেদন জানিয়েছে তাদের অন্যতম। এদিকে ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে জাতির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বলেছেন, চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়বে তার দেশ। কারও কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। ইরানি সংবাদ সংস্থা তাসনিমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
খামেনির কথায়, ‘ইরান চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। একইভাবে চাপিয়ে দেয়া শান্তির বিরুদ্ধেও দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। এই জাতি চাপের মুখে কারো কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।’ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। হামলায় ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এসব ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার চেষ্টার পাশাপাশি পাল্টা ইসরাইলে হামলা চালাচ্ছে ইরান।
হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে বার্তা দেন খামেনি। যা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে ইরানের এই নেতা বলেন, যারা ইরান ও এর ইতিহাস জানে, তারা জানে যে, ইরানিরা হুমকির ভাষায় ভালোভাবে জবাব দেয় না। এবং আমেরিকানদের জানা উচিত যে, মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খামেনির এই বক্তব্য পাঠ করা হয়। উপস্থাপক নিজেই এটি পড়ে শোনান। এতে খামেনি আরও বলেন, ইরানে হামলা চালিয়ে ভুল করেছে ইসরাইল। এই ভুলের জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিলে আমেরিকাকে ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ ভোগ করতে হবে।
ভাষণে দেশবাসীর প্রশংসা করে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ইহুদিবাদী শত্রুর মূর্খতা ও দাম্ভিকপূর্ণ আগ্রাসনের মুখে ইরানি জাতি ভদ্র, সাহসী ও সময়োপযোগী আচরণ দেখিয়েছেন। ইরানি জনগণের প্রতিক্রিয়াকে ‘উন্নতির লক্ষণ এবং যুক্তিবাদিতা ও আধ্যাত্মিকতার ধারাবাহিকতার প্রতীক’ বলেও প্রশংসা করেন তিনি।